Wednesday 29 July 2015

ফেরারী সময়



পুরনো বন্ধুদের প্রোফাইল ঢু মারতে গিয়ে ছবিতা খুঁজে পেলাম। বাস্! মনটা নস্টালজিয়ায় ভরে যাওয়ার জন্য অমূল্য উপকরণ। 

মনে হচ্ছে এইতো সেদিন, রিনেশ, তাপস, সুপ্রিম, লিসা, রেশমী আরও কত জন মিলে সদ্য জন্ম নেয়া কচ্চপ ছানার মতন ঘুরে বেড়াতাম, এবাড়ি ওবাড়ি, এপাড়া ওপাড়া। হাসি থামত না ঠোঁটে,কথা ফুরাত না মুখে। 

মুরব্বিদের বকুনি, সে যে কত মধুর! 

আঙ্গুল গুনি ১ ২ ৩ ....... দুই হাত শেষ হয় কিন্তু গণনা শেষ হয় না। জীবন থেকে চলে গিয়েছে কোটি কোটি মুহূর্ত। 

শুনেছি, রিনেশ দুই সন্তান নিয়ে অথই সাগরে, সুপ্রিম লিসা বিয়ে করে সংসারী। 

মাঝখানে একদিন বেশমির ছবি দেখলাম, হাসি মুখে দাড়িয়ে আছে মরুভূমির মাঝে। দুবাইয়ের ৪৪সি তাপমাত্রা ওর মুখের হাসি ম্লান করতে পারেনি। 

তাপস ঘুরছে দেশ দেশান্তরে। ভাবখানা দ্বিগ্বীজয়ী। জাপানের শীত, মালেশিয়ারটুইন টাওয়ার যেমন তাকে টানে, তেমনি থাইল্যান্ডের লাস্যময়ীরা ওঁকে বাঁধতে পারে না। তাইতো সে আজও একা। 

আর আমি? পক্ষী হয়ে গেছি। সূযর্মামা উঠার আগে বের হয়ে ফিরি সেই মামা ঘুমিয়ে যাবার পর। 
এই ব্যস্ততার মাঝে, তবুও জীবন সুখ খুঁজে পায়। 

তাপস, তোমার জন্য অজস্র গোপাল, ছবির জন্য। 

বন্ধুরা, সবাই ভালো থেকো।